|
চিত্র: অজিদের বিরুদ্ধে জয় পেলো ভারত |
নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে তীরে এসে তরী ডুবেছিল ভারতের। ভারতের মাটিতেই অস্ট্রিলিয়ার কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছিল ভারতকে। তারপরেই শুরু হয় ভারত অস্ট্রিলিয়ার মধ্যে ৫টি T20 সিরিজ। পরপর ২টি খেলাতেই ভারতের জয় আসলো সহজেই। গত ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছিলেন। তিরুবনন্তপূরমে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। শিশিরের কারণে পরে ব্যাট করা সুবিধাজনক ছিল। সে কারণেই ভারতে চ্যালেঞ্জ করে অজিরা। যদিও তাদের সেই পরিকল্পনা কাজে দেয়নি। ভারতের টপ থ্রি ব্যাটার হাফসেঞ্চুরি করেন। আইসম্যান রিঙ্কু সিংয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিং। মাত্র ৯ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস রিঙ্কুর। অস্ট্রেলিয়াকে ২৩৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় ভারত। অস্ট্রিলিয়া এই রানের পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে বেশ খানিকটা নড়বড়ে ছিল।
এই জয় ভারতের কাছে শুধু জয় নয়। একাধিক নতুন রেকর্ড গঠন করলো ভারতীয় দল। রবিবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ১৩৫তম ম্যাচ জিতেছে ভারত। ১৩৫টি টি-টোয়েন্টি জিততে ২১১টি ম্যাচ লেগেছে ভারতের। পাকিস্তানও টি-টোয়েন্টিতে ১৩৫টি ম্যাচ জিতেছে। সেটা করতে ২২৬টি ম্যাচ লেগেছে পাকিস্তানের। অর্থাৎ, পাকিস্তানের থেকে ১৫টি ম্যাচ কম খেলে সম সংখ্যক ম্যাচ জিতেছে ভারত। প্রথম থেকেই এই ফরম্যাটে ভারত যথেষ্ট ভালো খেলে।
আগামী ৮ থেকে ১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে
একটা সময় বীরেন্দ্র সহবাগের ঝোড়ো ব্যাটিং এর সামনে বিশ্বের তাবড় বোলারেরা অসহায় হয় পড়তেন। এই ফরম্যাটে ভারতের খেলা শুরু হয় ২০০৬ সালে। তারপর থেকে দূরন্ত গতিতে সাফল্য এসেছে ভারতের। ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। জোহানেসবার্গে বীরেন্দ্র সহবাগের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। তার পর থেকে টি-টোয়েন্টিতে আরও ১২ জন ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সব থেকে বেশি ৭২টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০০৭ সালে ভারতের এক মাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও তাঁর নেতৃত্বেই এসেছে।
তিরুবনন্তপূরমে টস জিতে অ্যাডভান্টেজ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে বৃষ্টি এবং শিশিরের সম্ভাবনা ছিল। বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। তেমনই শিশিরের প্রভাবকে বাধা হতে দেয়নি ভারতীয় শিবির। প্রথমে ব্যাট করায় ভারতের প্রয়োজন ছিল বিশাল স্কোরের। সেটাই হল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের পঞ্চম সর্বাধিক স্কোর গড়ল টিম ইন্ডিয়া। টপ থ্রি ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরি এবং রিঙ্কু সিংয়ের অনবদ্য ইনিংস। প্রথমে ব্যাট করা সহজ ছিল না। তবে ঋতুরাজের অ্যাঙ্কর ইনিংস এবং যশস্বীর বিধ্বংসী ব্যাটিং ভারতের ভিত মজবুত করে। ঋতুরাজের ভূমিকা ছিল একদিক আগলে রাখা। যশস্বী অর্ধশতরানের পর ফিরতে ক্রিজে প্রবেশ ঈশান কিষাণের। কিছুটা সময় নিয়েই হাত খুলতে শুরু করেন ঈশান। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। ভারতীয় ইনিংসে স্মরণীয় ব্যাটিং রিঙ্কু সিংয়ের। তিনি ক্রিজে নামতেই গ্যালারিত গর্জন। দর্শকরাও আঁচ করেছিলেন, এ বার ভরপুর বিনোদন মিলবে। ঠান্ডা মাথায় সেটাই করে দেখালেন। বিশাল রান তাড়ায় বড় জুটি গড়া প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ভারতের বোলাররা সেটাই হতে দেননি। যখনই কোনও জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে, উইকেট নিয়েছে ভারত। মাঝের ওভারে ১২ বলের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার তিন উইকেট নেয় ভারত। এতেই ম্যাচের রাশ পুরোপুরি ভারতের হাতে। ৫সিরিজের টানা ২টি তে জিতে ভারত এখন চালকের আসনে।
Published By: Bipradip Das