বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

টিটাগড়ের ওই ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, জেটির অর্ধেকের অংশ ডুবে রয়েছে জলে


ফেরিতে ওঠার জন্য প্রয়োজন ছিল শক্তপোক্ত জেটির। তৈরিও হল কথা মতো। কিন্তু জলের তোড়ে সেই ‘শক্তপোক্ত’ জেটি ভেঙে তলিয়ে গেল গঙ্গাগর্ভে। তারপর তিন বছর কেটে গেলেও সেই জেটি আর তৈরি হয়নি। ফলে তখন থেকেই টিটাগড়ের রানি রাসমণি ঘাট (বর্তমান নাম কেষ্ট মুখার্জি ঘাট) দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ। নদীর ওপারে হুগলির শ্রীরামপুরের রাধাবল্লভ ঘাট। সেই জেটিও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই ঘাট দিয়ে নদী পারাপার করতে পারছেন না দু’পাড়ের মানুষ। এই না পাওয়ার যন্ত্রণা একদিকে যেমন হতাশার জন্ম দিচ্ছে, তেমনই ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের মনে। বারাকপুর পুরসভার প্রশাসক- মণ্ডলীর চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, আমি প্রশাসনকে প্রস্তাব আকারে বলেছিলাম, নদীর দু’পারে দু’টি পুরসভা রয়েছে। একদিকে বারাকপুর, উল্টোদিকে শ্রীরামপুর। পূর্ত দপ্তর জেটি মেরামত করে দিলে ফের শুরু হবে ফেরি পরিষেবা। সেখান থেকে যা আয় হবে, তা দু’টি পুরসভা তা ভাগাভাগি করে নেবে। এতে পুরসভার আয় যেমন হবে, তেমনই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সঠিকভাবে হবে। কিন্তু এনিয়ে প্রশাসন এখনও কিছু জানায়নি। আগে রাধাবল্লভ ঘাটের জেটি ভেঙে গিয়েছিল, তারপর এপারের জেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু পূর্তদপ্তর কেন এই কাজে হাত দিল না? বারাকপুর মহকুমার পূর্তদপ্তরের সহ বাস্তুকার (৩)-এর অফিসে এনিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, জেটি তৈরির জন্য এখনও অর্থ অনুমোদন করেনি সরকার। শ্রীরামপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অমিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, এপারের
জেটিও অনেকদিন আগে ভেঙে গিয়েছে। মানুষের অসুবিধা হচ্ছে, জানি। চেষ্টা করা হচ্ছে, দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার।
সম্পতি টিটাগড়ের ওই ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, জেটির অর্ধেকের অংশ ডুবে রয়েছে জলে। যেটুকু মাথা তুলে রয়েছে, তার উপর তিন-চারজন বসে গল্প করছেন। তাঁরা বললেন, এই জেটি দিয়ে আদৌ আর ফেরি পরিষেবা চালু হবে কি না, সন্দেহ। কারণ, নতুন করে জেটি তৈরি করতে হবে। লোহার কাঠামো তৈরি করতে হবে, লাগাতে হবে কাঠের পাটাতন। ভাঙাচোরা কাঠামোয় যে কাঠগুলি এখনও লাগানো রয়েছে, সেগুলি পচে গিয়েছে। রাসমণি ঘাট লাগোয়া একটি চায়ের দোকানের মালিক বললেন, গত তিন বছর ধরে একইরকম অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই ঘাট। ফলে হুগলির দিক থেকে বারাকপুর-টিটাগড়-চিড়িয়ামোড়ের দিকে কাজে করতে আসা মানুষকে অনেকটা ঘুরপথে আসতে হচ্ছে। 

Share This

0 Comments: