শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০২০

রহস্যে ঘেরা ‘অশরীরী-শিকারি’ গৌরবের মৃত্যু


ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ অভিনয়ে। কিন্তু সম্পন্ন পরিবারের ছেলেকে বিদেশে পাঠানো হল পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে। সেখানেই আমূল ঘুরে গেল জীবনের মোড়। দিল্লির ছেলে গৌরব তিওয়ারি হয়ে গেলেন ‘ভূত’ শিকারি। তাঁর জীবনের পরিণতিও ছিল রহস্যাবৃত। মাত্র ৩২ বছর বয়সে নিজের বাড়ির বাথরুমে রহস্যমৃত্যু হয়েছিল এই তরুণের। বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিকের ছেলে গৌরবের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর। তাঁকে আমেরিকার টেক্সাসে পাঠানো হয়েছিল বিমানচালনার প্রশিক্ষণ নিতে। কোর্স চলাকালীন ফ্লোরিডায় একটি বাড়িতে কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন গৌরব। গৌরবের দাবি, সেখানেই আশ্চর্য অভিজ্ঞতার শিকার হন তিনি। গৌরবের দাবি, তিনি ও তাঁর বন্ধুরা ওই বাড়িতে অশরীরীর উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন। এই অভিজ্ঞতার পর থেকে গৌরবের মনে ‘ভৌতিক’ এবং ‘ভূত’ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর দুর্নিবার আকর্ষণ জন্মায়। তিনি ঠিক করেন, এই বিষয়ে গবেষণা করবেন। গৌরবের দাবি, তিনি ও তাঁর বন্ধুরা ওই বাড়িতে অশরীরীর উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন। এই অভিজ্ঞতার পর থেকে গৌরবের মনে ‘ভৌতিক’ এবং ‘ভূত’ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর দুর্নিবার আকর্ষণ জন্মায়। তিনি ঠিক করেন, এই বিষয়ে গবেষণা করবেন। বিভিন্ন সমাধিক্ষেত্র-সহ ‘ভৌতিক’ বলে পরিচিত এ রকম ছ’হাজারের বেশি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন গৌরব। নিজের অভিজ্ঞতা জানাতেন ব্লগে বা টেলিভিশনের পর্দায়। তাঁর অভিজ্ঞতা বলছে, দেশের অন্যতম ভৌতিক ধ্বংসাবশেষ বলে পরিচিত ভানগড় কেল্লায় নাকি আদপেই অশরীরীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। লেখালেখি ও কাজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলেও গৌরব বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর অ্যালেন টাইলারেরও তিনি বন্ধু ছিলেন। দু’জনে একসঙ্গে কাজও করেছেন ‘হন্টিং: অস্ট্রেলিয়া’ সিরিজে।

Share This

0 Comments: