এলাকায় ক্লাবগুলোর বিশেষ উদ্যেগ |
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে এখন বিভিন্ন এলাকায় ক্লাবগুলো যেন যথাযথ বিশেষ ভূমিকা নেয়। এরই মধ্যে, দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক এবং ১০১ নং ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত মহাশয় জানালেন, ‘এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে ক্লাবের মূল লক্ষ্য মানুষের পাশে থাকা, নাকতলা এলাকায় সংক্রমণ ঠেকাতে বারবার স্যানিটাইজ করা, মানুষদের মাস্ক পরা নিয়ে সচেতন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে প্রচার ও মাস্ক বিলি করা, গরিব মানুষদের সহযোগিতা করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।
ত্রিধারা সম্মিলনীর সম্পাদক তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার মহাশয় জানালেন, ‘ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি সরকারি গাইডলাইন মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মাস্ক বিলির পাশাপাশি পুরো এলাকা সংক্রমণমুক্ত রাখতে স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে। এমনকী রাস্তায় কাউকে মাস্ক ছাড়া দেখলেই তাকে মাস্ক দিয়ে দেওয়ার কাজও করছেন আমাদের ক্লাবের সদস্যরা।’ শহরের আরও এক জনপ্রিয় ক্লাব সুরুচি সঙ্ঘের পক্ষ থেকে স্বরূপ বিশ্বাস জানালেন, ‘এলাকার মানুষদের করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে এলাকায় সচেতনতার প্রচার করা হচ্ছে। এলাকাও স্যানিটাইজ করাও হচ্ছে। গরিব মানুষদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ক্লাব।’ বিবেকান্দ স্পোর্টিং ক্লাব হরিদেবপুরের পক্ষ থেকে রঞ্জিত দে জানান, ‘এলাকায় সচেতনতা শিবির করে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করা। করোনা–আক্রান্তের পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা করা। মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি করে যাচ্ছি।’ গল্ফগ্রিন শারদোৎসব কমিটির সম্পাদক এবং ৯৫ নং ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তপন দাশগুপ্ত জানালেন, ‘করোনা সচেতনতা নিয়ে মাইকিং চলছে। মাস্ক বিলি করা। অসুস্থ মানুষদের ডাক্তারের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করবেন তারও গাইড করা হচ্ছে কমিটির পক্ষ থেকে।’
উত্তর কলকাতার নামী ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপেন্দুকিশোর গোস্বামী জানালেন, ‘করোনা সংক্রমণ শুরু থেকে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নেতৃত্বে এখনও পর্যন্ত এক লাখের বেশি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার মানুষদের সচেতনতার প্রচার করা হচ্ছে। দুঃস্থ মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ‘এলাকা স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করা, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ প্রদান, সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে আগামী দিনে মানুষের পাশে থাকার আরও কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’ উল্টোডাঙার কবিরাজ বাগান দুর্গোৎসব কমিটির কার্যকরী সভাপতি সঞ্জয় সাউ জানালেন, ‘মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি এলাকায় বারবার স্যানিটাইজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ উত্তর কলকাতার আঞ্চলিক কমিটি সম্পাদক অরুণ রায়ের কথায়, ‘সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্বের গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি এলাকার গরিব মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করে চলেছি।’ মানিকতলা সাগ্নিকের সম্পাদক শম্ভু চক্রবর্তী জানালেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে অনেক গরিব মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সেইসব পরিবারকে রেশন দেওয়া হয়েছে। এই মহামারীর সময় রক্তের প্রয়োজন থাকে। তাই সরকারি ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় রক্তদান শিবির করা হয়েছে। ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মানুষকে লাগাতার সচেতন করা হচ্ছে।’ উত্তর কলকাতার লালাবাগান নবাঙ্কুর সঙ্ঘের সম্পাদক তাপস রায় জানালেন, ‘এলাকার মানুষকে করোনার বিরুদ্ধে আরও বেশি সচেতন করতে লিফলেট বিলি করা হবে।
Categories:
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
Recent
0 Comments: