নিজস্ব সংবাদ-দাতা: বৃষ্টির জেরে বেড়েছে ঠাণ্ডা। বেশ ভালোই ঠাণ্ডায় কাঁপছে পাহাড়। সেখানে বাজার আগুন! সবজির দাম শুনলে হাতে ছ্যাঁকা লাগছে হাতে। মাথায় হাত পাহাড়বাসীর। এক লাফে প্রায় দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে সবজির দাম। করোনা মোকাবিলায় ফের শিলিগুড়িতে লকডাউন শুরু হয়েছে। বন্ধ শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট। মূলত এখানকার সবজি আড়ত থেকেই পাহাড়ে যেতো রকমারি সবজি। শিলিগুড়ি মহকুমা ও লাগোয়া এলাকার একাধীক বাজার, হাট বন্ধ । তার জেরেই সবজি সংকট সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ে। সংকট কাটাতে ডুয়ার্সের ধুপগুড়ি থেকে সবজি আসছে শৈলশহরে।
একেই করোনার থাবায় পাহাড়ে নেই পর্যটক। পর্যটন ব্যবসার ওপরই নির্ভরশীল পাহাড়ের অর্থনীতি। কয়েক লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। রোজগার নেই। তারওপর সবজির দাম যেন গোঁদের ওপর বিশ ফোঁড়া! সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘুম ছুটেছে। কিন্তু খেতে যে হবেই। উপায় না থাকায় বেশী দামেই কিনতে হচ্ছে সবজি। মহা সমস্যায় পড়েছে পাহাড়বাসী।
আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা। টমেটো দু'দিন আগে পর্যন্ত ছিল ৪০ টাকা। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। একই দাম ঢেঁড়স, করলারও। ফুলকপি, বাধাকপির দামও চড়া। ১০০ টাকার বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি। আর বাধাকপি ৮০ টাকা প্রতি কেজি। শাকের দামও চড়া। পাহাড়েই উৎপাদিত স্কোয়াশও ৬০ টাকার নীচে নয়। দাম বেড়েছে স্কোয়াশের ডাঁটারও। অবিলম্বে সরকারী হস্তক্ষেপের দাবী তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নইলে আগামী দিনে দাম আরো চড়া হতে পারে। স্থানীয় সবজি বিক্রেতাদের দাবী, শিলিগুড়ির বাজার বন্ধ থাকায় সমস্যা বেড়েছে। বাইরে থেকে আসছে সবজি। স্থানীয় উৎপাদিত শাক এবং সবজির দামও নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।
Categories:
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
Recent
0 Comments: