শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০২০

বর্ধমান জেলায় এখন অবধি ২৯৯ জন COVID19 -এ আক্রান্ত হয়েছেন


নিজস্ব সংবাদ-দাতা: বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।পূর্ব বর্ধমান জেলায় এ অবধি ২৯৯ জন COVID19 ১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে  ৮০ জন রোগী রয়েছেন যাদের চিকিৎসা চলছে। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
গত শুক্রবারের মধ্যেই মোট ১২জন আক্রান্ত হয়েছেন জেলায়। এরমধ্যেই আবার, বর্ধমান শহরেই ৫ জন। এই শহরে ৯ টি কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে। এই অবস্থায় কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। কঠোরভাবে বিভিন্ন বিধি লাগু করতে চাইছে। এরমধ্যে ১২;১৩;১৪ নং ওয়ার্ডের সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে ক্রমশ। ১২; ১৩ আর ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডে নতুন করে সম্পূর্ণ  লক-ডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। বাজার দোকান সরকারি বেসরকারি দপ্তর সহ সব কাজ কর্ম এখানে বন্ধ থাকবে।
এছাড়া সংযুক্ত কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ধরা হবে। এগুলি হল পুরো আরবিঘোষ রোড, রামকৃষ্ণ রোডের ফ্রেজার অ্যাভিনিউ থেকে আরবিঘোষ রোড এর জংশন; পাওয়ারহাউস পাড়া থেকে আর বি ঘোষ রোডের একাংশ;লোকো কলোনির কালনা রোডের দক্ষিণ অংশের পুরোটা।
আগামী ৭ দিনের জন্য এই এলাকাগুলোতে বিধি বলবৎ থাকবে।শহরের সুপার মার্কেটগুলি অড-ইভেন ভিত্তিতে  একদিন অন্তর খোলা থাকবে।শহরের আরও বেশ কিছু এলাকায় একদিন ডানদিকের সব দোকান বন্ধ থাকবে।বামদিকের দোকানগুলি তার পরের দিন বন্ধ থাকবে।
এগুলি হলঃ সোনাপট্টি বাজার; চাঁদনি চক;নতুনগঞ্জ বাজার; রাধাবল্লভ মিষ্টান্ন বাজার থেকে রাণীগঞ্জ বাজার মোড়;পুলিশ লাইনের কাছে জেভিয়ার্স রোড বাজার; বর্ধমান আরামবাগ রোডেরবীরহাটার কাছের বাজার ও বিবেকানন্দ কলেজের কাছের বাজার;টিকরহাট থেকে উত্তর ফটক বাজার;বি বি ঘোষ রোডের উত্তর ফটক থেকে বিজয় তোরণ ; নতুনগঞ্জ কাঁসারীপট্টি।
লকডাউনের শেষে বর্ধমানে সংক্রমণ সন্তোষজনকভাবে নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।কিন্তু একশ্রেণীর নাগরিক তাদের বেপরোয়া মনোভাব চালিয়ে গেছেন। নিয়মবিধির তোয়াক্কা করেন নি তারা। করোনার নতুন করে প্রকোপ বাড়ায় ভয় বাড়ছে শহরে। নতুন করে লক-ডাউন এর দাবিও উঠছ। এই অবস্থায় নতুন কঠোরতা আরোপ করে লড়তে চাইছে প্রশাসন।

Share This

0 Comments: