বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০

অবশেষে খুজে পাওয়া গেল নবাব সিরাজ উদ-দৌল্লাহ বর্তমান পরিবার

জানা গিয়েছে তিনি বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবাব সিরাজ উদ-দৌল্লাহ ও তাঁর প্রিয়তমা বেগম লুৎফুন্নিসা বংশধারা পরিবার থেকে 

নবাব সিরাজ উদ-দৌল্লাহ পরিবার 

বিপ্রদ্বীপ দাসঃআসুন! আমরা নতুন প্রজন্মের নবাব সিরাজ উদ-দৌল্লাহ সাথে পরিচয় হই এবং সম্মানের সহিত সালাম-নমস্কার জানাই, আমি বিপ্রদ্বীপ দাস, ভারতীয় একজন নাগরিক! শিক্ষাতে যেমন বিজ্ঞান বিভাগীয় ছাত্র তেমন পেশায় একজন সাংবাদিক এবং Managing Director Of Telecom Care Pvt. Ltd., ছোটবেলা থেকেই বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ উদ-দৌল্লার প্রতি সম্মান ছিলো, ইতিহাসে অনেক পড়েছি তার বীরত্বের কাহিনী। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম বাগানে যুদ্ধের নামে প্রহসন করে তার সাথে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তার কাহিনী সত্যি আমাকে ব্যাকুল করে তোলে, বার বার মনে নবাব সিরাজ উদ-দৌল্লাহ কি কেউ আদৌও বেচে নেই তাহলে? বলে রাখি! এটা শুধু আমার মনের প্রশ্ন নয় এটা সারা ভারতবাসীর মনের প্রশ্ন, যেভাবে বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর সিরাজ উদ-দৌল্লাহর কিছু আত্মীয় স্বজন -দের আমন্ত্রণ জানিয়ে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছিলো তাতে এই প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবে থেকেই যায়! অনেক চেষ্টা করে, অবশেষে খুজে পেলাম নবাব সিরাজ উদ-দৌল্লাহ পরিবারকে, জানা গিয়েছে তিনি নবাব সিরাজ উদ-দৌল্লাহ ও তাঁর প্রিয়তমা বেগম লুৎফুন্নিসা বংশ থেকে, এবং তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে ঢাকার খীলক্ষেত লেকসিটি -তে থাকেন। হ্যাঁ এটা সত্য ইতিহাস, এটি মানা যায়, কেননা নবাবকে হত্যা করার ৩৪ বছর পর লুৎফুন্নিসার মৃত ঘটে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রিয়তমা সহধর্মিণী বেগম লুৎফুন্নিসা ছিলেন ইরাজ খানের কন্যা। ইরাজ খান ছিলেন আতি সম্ভ্রান্ত বংশীয়। লুৎফুন্নিসার আপন একজন ভাইও ছিলেন, নাম তার ইরান খান। ইরাজ খানের পিতা আকবর কুলিখান ভাগলপুরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। শাহজাদা আজমের মৃত্যুর পর তিনি বাংলায় চলে আসেন।নবাব আলীবর্দী খান বংশীয় মর্যাদার জন্য ইরাজ খানকে সম্মান দেখান এবং দরবারের উচ্চপদে নিয়োগ দেন। তিনি নিজেই ইরাজ খানের কাছে তার কন্যা লুৎফুন্নিসার জন্য বাংলার যুবরাজ সিরাজউদ্দৌলার সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেন। 

আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক নবাব সিরাজ উদ-দৌল্লাহ বংশধর তালিকাঃ

১ম-উম্মে জোহরা ওরফে কুদসিয়া বেগম। (পিতা-সিরাজউদ্দৌলা, মাতা-বেগম লুৎফুন্নিসা) স্বামী-মুরাদউদ্দৌলা (পিতা-ইকরাম উদ্দৌলা, সিরাজউদ্দৌলার ভ্রাতুষ্পুত্র)।

২য়-শমশের আলী খান। (স্ত্রী-সৈয়দা আলীয়াতুন্নিসা বেগম)। 

৩য়-সৈয়দ লুৎফে আলী। 

৪র্থ- ফাতেমা বেগম (স্বামী-সৈয়দ মোহাম্মদ রেজা, বেগম লুৎফুন্নিসা পরিবারের ৪র্থ বংশধর)। 

৫ম- হাসমত আরা বেগম (স্বামী-সৈয়দ আলী রেজা, ভারতের বীর টিপু সুলতান পরিবারের রক্তধারা বংশধর)।

৬ষ্ঠ-সৈয়দ জাকি রেজা। স্ত্রী-ইয়াকুতি বেগম। 

৭ম-গোলাম মোর্তজা (স্ত্রী- নিখাত আরা, নবাব সরফরাজ খানের রক্তধারার অন্যতম বংশধর)। 

৮ম-প্রকৌশলী এস.জি. মোস্তাফা (স্ত্রী- সৈয়দা হোসনে আরা বেগম, বেগম লুৎফুন্নিসা পরিবারের ৮ম বংশধর)। 

৯ম-সৈয়দ গোলাম আব্বাস আরেব ওরফে নবাবজাদা আলি আব্বাসউদ্দৌলা।



Published on

20/08/2020 12:54

Published By: BIPRADIP DAS




Share This

0 Comments: