অতি জোয়ারে দেশের দণিাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে
বন্যাকবলিত এলাকা |
সদর উপজেলার চরগ্রাম, মাঝিডাঙ্গা, ভদ্রপাড়াসহ অন্তোত ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া, বহরবুনিয়া, জিউধরা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম, পৌর শহর, ঢুলিগাতি, তেলিগাতি, সানকিভাঙ্গাসহ ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ভেসে গেছে এসব এলাকার মাছের ঘের। জোয়ারের পানিতে কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর, ভান্ডারকোলা, পদ্মনগর গ্রামের কিছু আংশিক প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামেও ভেসেছে মাছের ঘের। রামপাল উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকশ মাছের ঘের। পানিবন্দি রয়েছে দুই শতাধিক পরিবার। ফকিরহাট, চিতলমারী, মোল্লাহাট, মোংলা, ও শরণখোলা উপজেলায় অন্তত অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবজি ও মৎস্য ঘেরের ব্যাপক য়তি হয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।
গ্রামের বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি ঢুকেছে |
সাতক্ষীরায় গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বাঁধ ভেংঙ্গে প্রায় প্রতিটি এলাকা প্লাবিত হতে শুরু হয়েছে। এই বাঁধগুলো সব ভেঙে গিয়েছিল ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময়।প্রতাপনগরের সঙ্গে আশাশুনি ও সাতীরার যোগাযোগের একমাত্র প্রধান সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে চলছে টানা বৃষ্টি, বিশেষ করে শুক্রবার সারা রাত বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও ভারী করে তুলেছে। প্রতাপনগরের সাবেক ইউপি সদস্য শেখ আজুয়ার রহমান বলেন, গতকাল শুক্রবারের টানা বর্ষণে সাতীরার আশাশুনির প্রতাপনগরের পাশাপাশি, শ্রীউলা ও শ্যামনগরের গাবুরায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। মানুষের দুর্দশা বর্তমানে চরমে। তবে গোটা প্রতাপনগরের পরিস্থিতি সব থেকে ভয়াবহ। মানুষের দুঃখ দুর্দশা সেখানে চরমে। স্থানীয় গৃহবধূ আসমা খাতুন জানান, সেখানে পানি সরার কোনো পরিস্থিতি নেই। নদী, লোকালয় রাস্তা সবকিছু একাকার হয়ে গেছে। খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। মানুষের মতোই প্রাণীকুলের অবস্থা সংকটজনক। যেসব আশ্রয় কেন্দ্র ও সাইকোন শেল্টার ছিল তার নিচতলাও প্লাবিত হয়ে গেছে। ফলে নতুন করে সংকট আরও তীব্র হয়েছে। স্থানীয় প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ধরনের উদ্যোগ নিল না। আজ মূলত তাদের গাফিলতির কারণেই এই সংকটের মুখোমুখি হলো গোটা ইউনিয়নবাসী। এদিকে চরম মানবেতর পরিস্থিতি হলেও কীভাবে তিনি সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছেন তা উর্ধ্বতন কেউ দেখতেও আসেননি বলে অভিযোগ করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতীরা-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমারের সঙ্গে বুধবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের কাজ চলছে সেখানে। আমি দ্রুত সেখানে চলে যাবো। সাতীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি প্রকৃতিগত সংকট। আমাদের কারও কোনো হাত নেই। তবে এটি নিয়ে কী করা যায় তার জন্য তিনি আশাশুনি সদরে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছেন বব
Published on
25/08/2020 06:46
Published By: BIPRADIP DAS
0 Comments: