আচমকা নয়াদিল্লির এই আগ্রাসী সক্রিয়তার কারণও রয়েছে
ভারত দখল করে নিলো চিনের দুটো অংশ |
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শনিবার রাতে ৮ নং ফিঙ্গার পয়েন্টের উল্টোদিকে বিতর্কিত অংশে চুপিসারে ঢোকার চেষ্টা করে প্রায় ৩০০ চীনা সেনা। মঙ্গলবার সকাল থেকে লাদাখে ভারতীয় সেনার ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। চীনের আগ্রাসন ঠেকিয়ে ভারতীয় সেনা দ্রুত এই অংশের উচ্চতম এলাকা ব্ল্যাক টপে পজিশন নিয়েনেয়। এবার চিনকে দিলো টেক্কা। ভারতীয় সেনা লাদাখে প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে বিতর্কিত অংশে ‘ব্ল্যাক টপ’ এলাকা দখল করেছে। পাদদেশে সেনা মোতায়েন রেখেছে চীন। দু’পক্ষের ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট এখন মুখোমুখি। এতটাই নিকটে, যাকে সামরিক পরিভাষায় বলা হয় ফায়ারিং ডিসট্যান্স। কিন্তু ব্ল্যাক টপে ভারতীয় সেনার স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স চলে আসায় এই অংশে রীতিমতো ব্যাকফুটে চীন।
আচমকা নয়াদিল্লির এই আগ্রাসী সক্রিয়তার কারণও রয়েছে। খবরে প্রকাশ, বিগত কয়েকমাস ধরে কমপক্ষে ১ হাজার বর্গ কিমি বিতর্কিত এলাকায় চীনের বাহিনী ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার রাতে তারা একইভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করে প্যাংগং লেকের দক্ষিণ দিকে। কিন্তু এবার ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে প্রায় ৪ কিমি পর্যন্ত ঢুকে চীনা বাহিনীর আগ্রাসন প্রতিরোধ করে। লালফৌজ যখন তা নিয়ে ব্যস্ত ছিল, ততক্ষণে ভারতের অন্য একটি বাহিনী পজিশন নিয়ে নেয় ব্ল্যাক টপে। রবিবার চীনা সেনা যতক্ষণে তা আবিষ্কার করে, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। দখল হয়ে গিয়েছে আরও দু’টি অংশ। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেয় ভারতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। দাবি করা হয়, ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অন্দরে ঢুকে পড়েছে।
যদিও নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছে, চীনই শনিবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছে। সোমবারও তারা সেখানে সংঘাতে প্ররোচনা দেয় বলে অভিযোগ তুলেছে বিদেশমন্ত্রক। এদিন দিল্লিতে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দফায় দফায় বৈঠক করেন।
Published on:
02/09/2020 16:24
Published By: BIPRADIP DAS
0 Comments: