আমিনা খাতুন এর সাথে CISF এর কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল |
হাসান পিয়াদা সাকিবঃ বীরভূম জেলার মোল্লারপুর থানার রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা,গোলাম পির এর মেয়ে আমিনা খাতুন ফেসবুকে পরিচয়ে মালদা জেলার, পুকুরিয়া থানার চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কলিমদ্দিন এর ছেলে আসিফ ইকবাল এর সাথে ভালোবেসে ফেলে। আসিফ পেসায়-CISF এর কর্মকর্তা ছিলেন, দিনের পর দিন দুজনের ভালোবাসা চলতেই থাকে,এমন কি কয়েকবার দুজনের দেখা ও হয় এরপর ২০১৯ সালে জুন মাসের ৮ তারিখে আসিফ আমিনাকে নিয়ে দিল্লি চলেযায় সেখানে ৩৬ দিন রাখে এবং প্রতিনিয়ত শারীরিক সম্পর্ক করে এবং বাচ্চা না আসে এমনি অনেক ঔষধ এর ব্যাবহার করে। তার পর আমিনাকে আবার ১৫ জুলাই তার বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনে, ও আসিফ তার কর্মস্থলে ফিরেযায়।
CISF এর কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল |
এরপর ২০১৯ সালে ২৪ ই সেপ্টেম্বর মুসলিম রিতিনিতি মেনে কাবিননামা সাক্ষর করে এবং সেই বিয়ে ২০২০জানুয়রি ৭ তারিখে সম্পূর্ণ করে। এর পর আসিফ আমিনা কে আসিফ তার বাবা মায়ের কাছে স্ত্রী হিসাবে রেখে কর্মস্থলে যাওয়ার পর শুরুহলো আমিনার উপরে অত্যাচার, দিনেরপর দিন আমিনা তার শশুর শাশুড়ি কে আপন করতে চাইলে ও পারতোনা, তাদের পরিবারের একটাই দাবি ছিলো বাবার বাড়ি থেকে পন নিয়ে আসতে হবে এমন কি নগত ১০ লক্ষ টাকা ও ছেলের জন্য একটা চার চাকা দামি গাড়ি আনতে হবে। কিন্তু আমিনার বাবা ছিলো খুবই সাধার পরিবারের মানুষ অল্প কিছুতে সংসার চলেযেতো, এই অত্যাচার আমিনা বাবার বাড়িতে প্রথমে জানাতে না চাইলে ও আরো আমিনার উপর শারীরিক ও মানবিক অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে শুরু করলো, এই ঘটনার কিছুদিন পরে আমিনার বাবা তা দিতে রাজি হলেও শশুর বাড়ির অত্যাচারের মাত্রা কমেনি,আমিনার দাবি যে এমন কি আমাকে দিনের পর দিন খাবার দিতোনা,তাদের পরিবার আমার পুত্রবধু মনে করার তো দুরের কথা একটা চাকরানীর থেকেও যঘন্য মনে করতো।
একদিন আমিনাকে মেরেফেলার চেষ্টা করলে সে প্রানেবাঁচার জন্য পালিয়ে গিয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়িয়ে গিয়ে উঠে, তার পরে আমিনা তার নিজের বাবার বাড়িতে চলেযায়। দীর্ঘ ৮ মাস বাবর বাড়িতে থাকলে ও শশুর বাড়ির লোকজন ও স্বামি আসিফ কোন খবর নেয়নি, আমিনা কিছুদিন আগে আসিফের এক প্রতিবেশী ও বন্ধুর কাছে খবর পায় আসিফের বাবা মা ও পরিবারের সবাই তাকে অন্য কথাও বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রী দেখছে, এ কথা শোনার পর আমিনা আসিফের সাথে যোগা যোগ করতে চাইলে ও আসিফ যোগা যোগ বিচ্ছিন্ন করেদিতে চাইতো। এদিকে আমিনার বাবার বাড়িতে আমিনা কতদিন থাকবে এ বিষয়ে আমিনার পরিবার আমিনার উপর চাপ দিতে শুরু করে, চাপে পড়ে আমিনা তার নিজের এলাকাতেই থানয় যায় আসিফ ও তার পরিবারের নামে অভিযোগ করতে গেলেও থানায় তাদের অভিযোগ নেওয়া যাবেনা বলে আমিনা কে বার বার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে আমিনা বীরভূম জেলার রামপুরহাট কোর্টে মামলা করে, তাতে কোন লাভ হয়নি। তার পরে আমিনা আসিফের CISF এর কামন্ডো Yashwant singh কে ইমেল এর মাধ্যমে জানায় ও কয়েকবার ফোন করেন কিন্তু কোন উত্তর আসেনি। তারপরে একটা অচেনা নম্বর দিয়ে ফোন আসে আমিনার ফোনে এবং নিজেকে CISF এর হেড কনস্টেবল বিরেন্দ্র সিং নামে পরিচয় দিয়ে আমিনা কে হুমকি দেয় আপনার কোন অভিযোগ কাজে আসবে না। এদিকে আসিফ আমিনা কে পোস্ট অফিসের সাহাজ্যে চিঠি পাঠায়, সেই চিঠিতে লেখা আছে আসিফ মানষিক ভাবে সুস্থ না,তিনি সাইকো অবস্থাতে ছিলেন। কিন্তু আমিনার বক্তব্য অনুযায়ী তাদের রেজিস্ট্রী বিয়ে হয় ২০২০ জানুয়ারী ৭ তারিখে, কিন্তু চিঠিতে লেখা আসিফ সাইকো অবস্থাতে ছিলেন ২০১৯ সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে , এবং তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০১৯ অক্টোবরে ৬ তারিখে, আবার তিনি কর্মস্থলে জয়েন্ড করেন ২০১৯ অক্টোবরে ৭ তারিখে।
কিন্তু প্রশ্নই থেকে গেলো একজন সাইকো অবস্থাতে থাকা মানুষ CISF এ চাকরি করে কি ভাবে। এমন টা নয়তো যে আমিনা কে ব্লাকমেইল করার চক্রান্ত। কারন বর্তমানে আসিফের কর্মস্থল দিল্লি নয়ডা SSG 11 th রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ান, কিন্তু চিঠি আসে ভুল ঠিকানা থেকে- কারন ছিঠি আসার ঠিকিনা হলো আসাম নাওপাড়া নেয়ার মসজিদ, বাড়ির নম্বর ১৩৭- ৬ মাইল গোয়াহাটি/৭৮১০৩৮,কামরুপ। তাই আমিনার একটাই দাবি প্রশাসনের কাছে সে তার স্বামী কে ফিরে পেতে চায়।
0 Comments: