চিত্রঃ নবাব মোবারক-উদ-দৌলার দরবার |
বুধবার হেরিটেজ পর্বঃ জানা যায়, ১৭৭০ সালের ঠিক ১০ মার্চ নবাব মিরজাফর ও মুন্নি বেগমের পুত্র সাইফ-উদ-দৌলা বসন্ত রোগের আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তারপর মিরজাফরের দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র মোবারক-উদ-দৌলা সিংহাসন আহরণ করেন, কিন্তু তাদের বিগত নবাবিয়ানা একই ভাবে বহাল রেখেছে সিংহাসনে বসেও, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিযুক্ত অ্যংলো ইন্ডিয়ান এক সেনা শেখ দীন মহম্মদ মুর্শিদাবাদ ভ্রমণে বর্ণনা করেছেন তার এই বইতে ‘The Travels of Dean Mahomet'
এখানে উল্লেখ করেছেন তখনকার রাজধানি মুর্শিদাবাদ শহর কেমন ছিল? ১৭৩৩ সালে এক ভ্রমনে এসে তিনি এই শহরকে ব্যানিজ্যিক শহর আখ্যা দিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য এটাই হলো সব থেকে উপযুক্ত স্থান, কারণ এখানে মুঘল, পার্সি, মুসলিম, হিন্দু সব ধর্মের মানুষ বসবাস করে, - এখন আসুন আমরা জেনে নিই=
নবাবের প্রাসাদ ছিল কেমন?
মুর্শিদাবাদ শহরের ভাগীরথী নদীর পাশে বিস্তৃত এলাকার মধ্যবর্তী এক ফাঁকা জায়গায় ছিল মিরজাফর পুত্র নবাব মোবারক-উদ-দৌলা-সহ তার বিশেষ আধিকারিকদের বিশাল প্রাসাদ, নবাবের প্রাসাদ ছিলো মার্বেল দিয়ে কারুকাজ করা বিশিষ্ট স্তম্ভ দ্বারা নির্মিত, প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এই স্তম্ভের থিলানে বাদকরা বাদ্য যন্ত্র বাজাতো, এছাড়াও প্রাসাদের পাশে ছিলো ঘোড়া, বাজপাখি, গান গাওয়া পাখি বিক্রির বাজার।
Published on:
25/12/2020 15:00
0 Comments: