চিত্র- হাসপাতাল চত্বরে অবস্থা |
বিশ্বজিৎ মন্ডল, মালদাঃ সবে মাত্র বর্ষা শুরু হয়েছে। গত দু’দিন ধরে দফায় দফায় চলছে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি।তাতেই ছোট ডোবায় পরিণত হয়েছে চাঁচলের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগ ও করোনা হাসপাতাল।পুরোনো হাসপাতালকে করা হয়েছে কোভিড ওয়ার্ড।তার পাশেই রয়েছে নায্যমূল্যের ওষুধের দোকান।কিন্তু সেই হাসপাতাল ভবন এবং ওষুধের দোকানের সামনে জমে রয়েছে হাঁটু জল। নিকাশি ব্যবস্থার অব্যাবস্থার ছবি অত্যন্ত প্রকট।জমা জল পেরিয়ে ওষুধ কিনতে যেতে হচ্ছে রোগী কিংবা তাঁদের পরিজনদের।
কোভিড হাসপাতালে গেলেও সেই একই ঘটনা।পুরাতন হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড বলেই কি ব্রাত্য এই হাসপাতাল? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।কিন্তু নায্যমূল্যের ওষুধের দোকান তো হালে তৈরি! সেখানে কেন নিকাশির এই অব্যবস্থা? এলাকাবাসীর প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে পারেন না হাসপাতালের কর্তারা।হাসপতালের পাশে ন্যাযে মূল্যের ঔষুধ নিতে আসা এক মহিলা রুবি খাতুন অভিযোগ করে বলেন,হাসপাতালের সামনে জল থই থই করছে।হাতে চপ্পল নিয়ে খালি পায়ে পার হতে হল ওই জল দিয়ে।এটা আমরা কখনো আশা করিনি হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এভাবে জলমগ্ন হয়ে থাকবে।বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নজর দেওয়া উচিত।দ্রুত জল নিষ্কাশন করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে একই জল জমা চিত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ইমার্জেন্সী বিভাগের সামনে।রাস্তার পিচ উপড়ে হয়েছে গর্ত।যারা রোগীর ক্ষেত্রে মরণ ফাঁদ।মনে করছেন রোগীর পরিজনরা।তাছাড়াও সামান্য বৃষ্টি হলেও সেই গর্তে জল জমে থাকছে সর্বক্ষন।আর সেই জলের তোড় ভেঙেই হাসপাতালে প্রবেশ করছে নিশ্চয়যান থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র যানবাহন ও পথ চলতি রোগীর পরিজনেরা।সেই বেহাল চিত্রের হাল ফিরাতে সরব হচ্ছেন হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনরা।পরিজন পাপ্পু রায় বলেন,হাসপাতালে ঢুকতেই এত বড় গর্ত।আর সেখানে বৃষ্টির জল জমে থাকছে।যার ফলে সকলেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।দ্রুত সেটি সংস্কার করো হোক সেই দাবি তুলেছেন।চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন,বেহাল রাস্তা ও জল জমার বিষয়টি আমরা পিডব্লুডি কে জানিয়েছি।তারা শীঘ্রই কাজ শুরু করবে।এবং জল নিষ্কাশনও হবে।
0 Comments: