রিক্সা চালক থেকে এলাকা চালক! তাও হতাশা তৃণমূল বিধায়কের মুখে

চিত্র- সংগ্রহীত ফেসবুক থেকে 

নিজস্ব সংবাদঃ এক সময়ে রিক্সা চালাতেন কিন্তু তাতে সংসার চলত না কারণ যুগ পাল্টেছে এখন সবাই টোটোতে চড়ে গন্তব্যে যায় সবাই, তাই কেনেন টোটো, তারপর আসেন রাজনীতির ময়দানে, আর ময়দানে এসেই বিপুল সমর্থন নিয়ে টোটোর চালকের আসন থেকে বিধানসভার আসনে বসেন, আর বসেই হতাশা প্রকাশ করেছেন গতকাল ফেসবুকে নিজেই, তিনি লিখেছেন, "আমি হাঁপিয়ে যাচ্ছি। সত্যিই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি। যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু  জানতাম না,  খানিক সুখে ছিলাম। এখন সব দেখে জেনে - সরাসরি যুক্ত হয়ে আর কোনো রাতেই ভালো মতো ঘুমাতে পারছি না।কী এক কষ্টে  মাঝরাতে উঠে পায়চারী করতে বাধ্য হই।

এত অভাবী দু্ঃখী মানুষ, এতো তাদের সমস্যা। তাদের সকল  আশা ভরসার কেন্দ্রে এখন এসে দাঁড়িয়ে পড়েছি আমি। আমাকে ঘিরে তাদের অনেক আশা প্রত‍্যাশা। যেন আমার কাছে কোন জাদুকাঠি আছে যা দিয়ে তাদের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারি। যে বেকার সে ভাবছে চাইলেই আমি তাকে একটা চাকরি দিয়ে দিতে পারি, যার ভাঙা ঘর তাকে দিতে পারি একটা মাথা গোঁজার সুন্দর আবাস। যে অসুস্থ তাকে দিতে পারি সুচিকিৎসা। 

সেই আশায় তারা সূর্য ওঠার সাথে সাথে এসে আমার দরজায় দাঁড়িয়ে পড়ছে। যে ভিড় রাত এগারোটা বারোটার আগে কম হয়না। তাদের কাতর কান্না,  হাহাকার আমার বুকে যেন ধারালো চাকুর  মতো  চিরে চিরে বসে যায়। রক্ত ক্ষরন ঘটায়। ওরা আমাকে ঈশ্বরের সমতুল শক্তিমান বলে মনে করে,  যার কাছে যা চাওয়া যায় তা পাওয়া যায়। কিন্তু আমি যে অতি তুচ্ছ নগন‍্য একজন মানুষ। আমি যদি পারতাম তাহলে সবার সব চোখের জল সব হাহাকার,  না পাবার বেদনা এক নিমিষে মুছে দিতাম। ওরা আমাকে ঈশ্বর ভাবছে কিন্তু আমি যে সেই খড় মাটি রঙের একটা মুর্তী ছাড়া আর কিছুই নই"।

• Published on:
• 02/07/2021 09:39
• Published By: BIPRADIP DAS (Editor) 

Categories: হুগলি

Share This