বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১

৫ জন শিক্ষিকার আত্মহত্যার চেষ্টার প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য

৫ জন শিক্ষিকার আত্মহত্যার চেষ্টার প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য
সংগ্রহীত 

নিজস্ব সংবাদঃ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিস্থিতি খুব খারাপ বর্তমানে। একের পর এক বিক্ষোভ দেখাচ্ছে নবান্ন ও বিকাশ ভবনের সামনে। গত ৮ তারিখ বিষ খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে অনিমা নাথ, শিখা দাস, জোৎস্না টুডু, পুতুল মণ্ডল ও ছবি দাস হাজরা নামের ৫ শিক্ষিকা। তাদের অবসরের সময় আর বছর দুই বা তিনই বাকি। জানা যায় তারা চাকুরি করতেন সুন্দরবনে কিন্তু হঠাৎ করে সরকার বদলি করে দেয় কোচবিহার জেলাতে, আবার কেউ চাকুরি করতেন হুগলি জেলার ব্যান্ডেল এক স্কুলে তাকে বদলি করে দেওয়া হয় মালদা জেলার এক মাদ্রাসাতে। 

এখন সেইসব শিক্ষিকাদের যুক্তি, তারা মহিলা মানুষ এত দূর থেকে কিভাবে চাকুরিতে যোগদান করবেন। কিন্তু এই যুক্তি শিক্ষামন্ত্রি শুনছেন না বরং শিক্ষামন্ত্রির যুক্তি, ওরা বিজেপি ক্যাডার। ১৯৯৭ সাল বামফ্রন্ট আমল থেকে চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক/শিক্ষিকা এরা। ১৯৯৭ সালে বেতন পেতেন ৫০০ টাকা মাসিক তারপর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ক্ষমতায় আসার পর সেই বেতন বেড়ে হয় ৫,৪০০ টাকা আবার তৃণমূল সরকার আসার পর সেই বেতন দ্বিগুন হয় মাসিক ১০,৩০০ টাকা। 

National Computer Training Institute(NCTI)

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, ১৯৯৭ সালে এরা সম্মানিক নিয়ে চাকুরি করতেন, আর্থিক ও চাকুরির কোনও নিরাপত্তা ছিলো না, কিন্তু এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য শুনে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বামফ্রন্ট আমলে এদের রক্ষা কবচ হিসেবে ৬০ বছর পর্যন্ত চাকুরি করতে পারবেন এমন সরকারি চুক্তির কারণে আজ পর্যন্ত কোনও শিক্ষক/শিক্ষিকাকে ছাটাই করতে পারেননি বর্তমান রাজ্য-সরকার।  

  • Published on:
  • 26/08/2021 18:43
  • Published By: BIPRADIP DAS (Editor)


Share This

0 Comments: