ছেলে ও স্ত্রী |
পুলিশ ব্যাঙ্ক কর্মীদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন, স্বামী তপন মণ্ডল দুপুর ২ টো থেকে ৫ টা অবধি ব্যাঙ্কেই ছিলেন কাজে, এদিকে পুলিশের অনুমান দুপুর ২ টো থেকে ৫ টার মধ্যে এই খুন ঘটেছে, অন্যদিকে গৃহশিক্ষক আসেন বিকেল ৫ টার দিকে তখন ঘর বন্ধ ছিলো ভিতর থেকে, উল্লেখ্য স্বামী পুলিশকে জানান, স্বামী তপন অফিসে বসে স্ত্রীকে কল করেন কিন্তু ফোন না ধরাতে তিনি যখন রাত ৮ টায় অফিস থেকে বাড়ি ফেরেন সেই সময় সরাসরি নিজের ঘরে না ঢুকে তিনি প্রথমেই ওই আবাসিকের অন্য প্রতিবেশীকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন স্ত্রীর কেন ফোন বন্ধ! পুলিশের সন্দেহ এখানেই, কিন্তু স্বাভাবিক হিসাব এটা জানায়, স্ত্রীর ফোন অফ থাকলে স্বামী প্রথমে যাবে স্ত্রীর খোজে কিন্তু তপন না করে আগে গিয়েছিল প্রতিবেশীর কাছে জিজ্ঞেস করতে কেন ফোন অফ!
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, স্ত্রী সুস্মিতা মন্ডলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না স্বামী তপন মন্ডলের। স্ত্রী কাজ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। শুধু কাজের জন্যই যে ঝামেলা সেটা নয়, আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে ঝামেলার। সেগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে পুলিশের আরও একটি সন্দেহ দানা বেঁধেছে, তপন বাবু জানান তদন্তকারীদের, যখন তার স্ত্রী ও পুত্রের লাশ দেখেন তখন নাকি ভয়ে লাশ স্পর্শ করেনি! প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি শুরু করেন, তাহলে তার হাতের আংটির উপর কেন রক্তের ছাপ পাওয়া গেলো? খুন করার পর খুনি ঠাণ্ডা মাথাতে বাথরুমে গিয়ে প্রমান লোপাত করার জন্য স্নান সেরে নেয়, সেই সূত্র ধরেই ফরেনসিক ল্যাবের টিম এসে সেখানকার ড্রেনেজ পাইপলাইন থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
পোস্টমর্টেম রিপোর্টঃ
- স্ত্রীর দেহে ২০ টি আঘাত চিহ্ন পাওয়া গেছে।
- ছেলের দেহে ৫ টি আঘাত চিহ্ন পাওয়া গেছে।
- দুপুরে তারা খাওয়া সম্পন্ন ছিলো।
- দুজনের পাকিস্তলিতে একই খাবার পাওয়া যায়।
- দুজনের পাকিস্তলিতে কোনোরুপ নেশা বা মাদক বা ঘুমের জাতীয় তরল পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে বিষয়ঃ
- স্বামী তপন মন্ডলের হাতের আংটিতে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে তাই ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
- স্নান রুমের সাথে যুক্ত পাইপ লাইন থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
- বিভিন্ন স্থানে হাতের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
08/09/2021 12:17
Published By: BIPRADIP DAS (Editor)
0 Comments: