নিজস্ব গ্রাফিক্স (কলকাতা পুরভোট) |
ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে যে সিপিএম হাত মিলিয়েছিল জাতীয় কংগ্রেস সহ নতুন রেজিস্টার্ডহীন সাম্প্রদায়িক দল আব্বাস সিদ্দিকীর সাথে। যদিও বিহারী এক দলের প্রতিক নিয়েই প্রথম ভোট লড়েছিল। বিগ্রেডের সভা দেখে শোনা গিয়েছিলো, এই বুঝি বাম আবার ফিরে এলো রাজ্যে। অগ্রিম সেই বুঝে অন্যদিকে সুজন চক্রবর্তীও শিলান্যাস করে এসেছিলো সিঙ্গুরের মাটিতে। যেখানে এক সময়ে ন্যানো গাড়ি উৎপাদন করার টাটা কারখানা ছিলো। এবারের ২০২১-শের বিধানসভার সেখানকার বাম প্রার্থী ছিলো সৃজন ভট্টাচার্য। স্লোগান ছিলো "সিংগুর মানেই শিল্প"। প্রচারও হয়েছিল ধুমধাম ভাবে। কিন্তু শেষ হাসি ঘাসফুলেই। বলাই বাহুল্য, বিধানসভা ভোটের ফলাফল থেকে বহু শিক্ষা নিয়েছে বাম। আব্বাস সিদ্দিকীর সাথে বামেরা জোট করে যে ভুল করেছিলো তা টের পেয়েছে ভোট পরবর্তী ফল প্রকাশে।
সাধারণ মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছিল, এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িকের কোনও ঠাই নেই। সাধারণ মানুষ বুঝেছিলো আব্বাস সিদ্দিকী প্রথমে তৃণমূলের সাথে জোট করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলো কিন্তু তাতে তৃণমূল কর্ণপাত না করাতেই বামের সাথে হাত মেলায় আব্বাস সিদ্দিকী। ও আইএসএফ(ISF) যে প্রতিক পেয়েছিল তা নিয়েও যথেষ্ট বিতর্কেও সৃষ্টি হয়েছিল। কেননা সেই প্রতিক ছিলো বিহারের এক রাজনৈতিক দলের। এছাড়াও পরবর্তীকালে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার শুরু করেছিলো উগ্রবাদী ইসলামপন্থীরা সেই ঘটনার পরিপেক্ষিতে আব্বাস সিদ্দিকী এক জলসায় এসে গর্দান আলাদা করার হুমকি দিয়েছিলো যদিও পরে ক্ষমা চায় আব্বাস সিদ্দিকী।
যাইহোক বিজেপি যেভাবে রাজ্য জুড়ে জাঁকিয়ে বসে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতার আসন দখল করেছিল সেদিক থেকে কিন্তু, কলকাতা ভোট পুরো আগামীর আসন্ন ভাবনাই উল্টে দিলো এবার। কলকাতা পুর-ভোটে হাজারও সন্ত্রাস বা কারচুপির সত্ত্বেও ১১ শতাংশ ভোট বামের ঝুলিতে আসে। আর বিজেপির ঝুলিতে ৯ শতাংশের আশেপাশে পায়। এককথায় পুরভোটে নতুন করে অক্সিজেন পেলো বামেরা।
- Published By: BIPRADIP DAS
0 Comments: