চিত্র: রেল দুর্ঘটনাস্থলে হাজির পুলিশ |
সজল দাশগুপ্ত: জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির মৌয়ামারীর দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলের বগির ভিতরে থাকা ভূতদের গ্রফতার করতে গেল পুলিশ। কিন্তু ভূতকে কি যখন-তখন দেখা মেলে? তাইত সোমবার আমাবস্যার গভীর রাত বেছে নেয় পুলিশ। একজন-দুইজন পুলিশ নয়, স্বয়ং ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাসের নেতৃত্বে রীতিমত ফায়ার ব্রিগেডের ওসি ও আরপিএফ- সহ সটান হাজির ময়নাগুড়ির মৌয়ামারীর রেল দুর্ঘটনার বগির সামনে। কিন্তু, কথায় ভূত? গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় চষে বেরিয়ে পুলিশ ভূতকে গ্রেফতার করতে পারল না। আসলে এই ব্যাপারটাই মানুষদের বোঝাতে সোমবার আমাবস্যার দিন রাত ১২ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত ময়নাগুড়ি আইসি তমাল দাসের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী সেখানে হাজির হয়। কিন্তু ভূতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়না পুলিশ।
আর ভূতকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতেই আইসি হেঁসে হেঁসে জবাব দেয়, "আসলে গ্রামে যে ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়েছে তা কাটতেই আমাদের এখানে আসা। আমরা মানুষদের বোঝাব ভূত-প্রেত বলতে কিছু নেই। আর গ্রামবাসীদের এই কথা বোঝাতে পারলে রেলের ভূত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে তিনি মুচকি হাসি দিয়ে জানান। প্রসঙ্গত , ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের বগিতে থাকা মাছ খেয়ে নাকি গ্রামবাসীদের কয়েকজনের রেল দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের আত্মা ভর করেছে। এর পরেই গ্রামে শুরু হয় হুলুস্থুল কাণ্ড। কেউ ছুটছে ওঝার কছে, কেউ আবার পূজাও শুরু করেছে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের আত্মা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকায়। এমনকী দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগির সামনে থেকে মৃত মানুষদের আত্মার আওয়াজ আসছে বলেও দাবি করেছেন অনেকেই।
- Published By: BIPRADIP DAS
0 Comments: