চিত্র: নিহত পরিবারের আত্মীয় সাথে কথা বলছেন |
ওয়েব ডেস্ক: ঘটনার পর কেটে যায় দুদিন! তারপরই উপস্থিত বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এলাকায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তা তবুও গ্রামের বহু মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে দিয়ে পালিয়েছে আতঙ্কে। ঘটনার পরদিন সকালে বীরভূমের বিধ্বংস এলাকা পরিদর্শন করেন সিপিএমের নয়া রাজ্য সম্পাদক মহ:ম্মদ সেলিম। এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে আসার সময় ল্যাংচা খেয়ে এলাকা পরিদর্শনে হাজির হয় বিজেপির বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বিধবা ভাতা প্রদানের এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, "সরকারের বদনাম করার জন্য যারা এই কাজ করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা, ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে DIO এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার। বীরভূমের রামপুরহাটে পৌঁছেই নিহত পরিবারের সাথে কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ব্লক সভাপতিকে এরেস্ট করা হয়েছে। সেদিন যখন জনসাধারন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল তখন সাথে সাথে পুলিশ আসলে এমন অবস্থা হত না। এলাকায় নিরাপত্তার জন্য সব সময় পুলিশ পিকেটিং করবে। যারা দোষী তারা কেউ ছাড় পাবেনা। কেস ভালো করে সাজাতে হবে। আমি কিছু শুনতে চাইনা, আমি যেন না শুনি একে পাওয়া যাচ্ছেনা-ওকে পাওয়া যাচ্ছেনা। যেখান থেকে হোক ধরে নিয়ে আসতে হবে। আমি DIG কে নির্দেশ দিচ্ছি। DIB, IC সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। উপ-প্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুর পরই এই ঘটনা ঘটেছে। যা অত্যন্ত নিন্দেনীয়।
যাদের ঘরবাড়ি সব পুড়ে গেছে তাদের নতুন বাড়ি তৈরি করার জন্য ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে, প্রয়োজনে আরও ১ লক্ষ টাকা পাবেন। সাথে আরও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। ৩ টি বাচ্চাকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এবং যাদের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে তাদের ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। নিহত ১০ জন পরিবারের ১ জন করে সরকারি চাকরি পাবে। এলাকায় ব্লক সভাপতির উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "হয় আনারুলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে নয়ত যেখান থেকে হোক গেপ্তার করে আনতে হবে"।
- Published By: BIPRADIP DAS
0 Comments: