চিত্র: ভগ্নদশায় চাঁচল কলেজ |
বিশ্বজিৎ মন্ডল: শুধু অনার্স কোর্সের অপ্রতুলতা নয়, ক্লাস চলাকালীন যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চাঁচল কলেজের পড়ুয়ারা। করোনার জন্য দু’বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অফলাইন ক্লাস শুরু হলেও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অনেকেই ক্লাসে আসছেন না। কলেজ ভবনের ভগ্নদশা এবং পর্যাপ্ত ক্লাসরুমের অভাবে কর্তৃপক্ষও অনেক ক্লাস এখনও অনলাইনে করতে বাধ্য হচ্ছে। বিষয়টি সমস্ত মহলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনও সদর্থক কথা শোনা যায়নি। এই অবস্থায় পড়ুয়ারা দাবি তুলেছেন, দ্রুত কলেজ ভবন সংস্কার অথবা নতুন কলেজ তৈরি করা হোক।
চিত্র: চাঁচল রাজবাড়ির একাংশেই মালদার চাঁচল কলেজ |
১৯৬৯ সালের ২৬ অগাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় চাঁচল কলেজ। পরবর্তী সময়ে কলেজ স্থানান্তরিত করা হয় চাঁচল রাজবাড়ির একাংশে। ১৮৭২ সালে এই রাজবাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন রাজা শরৎচন্দ্র রায়চৌধুরি। অর্থাৎ বর্তমানে এই রাজবাড়ির বয়স দেড়শো বছরের আশেপাশে। এখনও সেই বাড়ির ২৩টি ঘরে চলছে কলেজের ক্লাস। উচ্চশিক্ষার জন্য আসছেন ছ’হাজারেরও বেশি পড়ুয়া। এদিকে কালের নিয়মে রাজবাড়ির অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। তাতে জন্মেছে বট-পাকুড়ের গাছ। খসে পড়ছে ছাদের চাঙর। কলেজ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার ছোটখাটো মেরামতি করালেও রাজবাড়ির ক্ষয় রোধ করতে পারছে না। তার জন্য প্রয়োজন বিজ্ঞানভিত্তিক সংস্কার।
চিত্র: ছাদে প্লাস্টার খসে পড়েছে |
ভবনের পরিস্থিতি যে ভালো নয়, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস। তিনি বলেন, “আমাদের কলেজ রাজবাড়ির মধ্যে। রাজবাড়ির বাইরের পরিকাঠামো আমরা সংস্কার করতে পারি না। প্রতিটি তলের উচ্চতা ২০ ফুট। ফলে ভিতরে সংস্কারের কাজেও সমস্যা রয়েছে। ক্লাসরুমের সংখ্যাও বাড়াতে পারছি না। এই কলেজে ২৩টি ক্লাসরুম রয়েছে। অথচ আমাদের প্রয়োজন ৪০টির বেশি কক্ষ। পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকায় আমরা কলেজের বারান্দা, করিডর সহ বিভিন্ন জায়গায় ক্লাস করাতে বাধ্য হই। ক্লাসরুম না থাকায় বেশ কিছু ক্লাস এখনও অনলাইনে নিতে হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রকল্প পাঠিয়েছি। এদিকে কলেজের বিভিন্ন অংশের দেওয়াল এবং ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা অনেকবার মেরামতি করিয়েছি। কিন্তু সমস্যা মেটানো যাচ্ছে না। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানাচ্ছি।”
- Published By: BIPRADIP DAS
Categories:
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
মালদা
0 Comments: